২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নাগরিক প্ল্যাটফর্মে পরিকল্পনামন্ত্রী

গ্রামের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ অবহেলিত

-

আক্ষরিক অর্থে গ্রামে বসবাস করা দুই-তৃতীয়াংশ মানুষকে অবহেলা করা হয়। তা ছাড়া নগরের নাগরিক সমাজ যে সুশাসনের কথা বলে, গ্রামে গেলে তা পাল্টে যায় বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, নাগরিক সমাজ আসলে কারা? যারা নগরে বাস করে তারা? নাকি সারা দেশের মানুষ?
রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে গতকাল ‘বাংলাদেশের যুব সমাজ ও এসডিজি : আজকে দাঁড়িয়ে, আগামীর ভাবনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কথা জানান। ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনডিপি) সহযোগিতায় সম্মেলনের আয়োজন করে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলিয়ার। বক্তব্য রাখেন, এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আহ্বায়ক ও অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, নগরের সুশাসন ও গ্রামের সুশাসন কিন্তু এক নয়। গ্রামের সুশাসন বলতে তারা ভালো একটি খাবার পানির সোর্স চায়, ভালো সড়ক, ভালো থাকার ব্যবস্থা চায়। অন্যদিকে শহরের নাগরিক সমাজের সুশাসন বলতে বোঝান মানবাধিকার বা অন্য কিছু। গ্রামের মানুষের সুশাসনের ধারণা ও শহরের মানুষের সুশাসনের ধারণা কিন্তু এক নয়।
গ্রামের মানুষের চাহিদার কথা তুলে ধরে এম এ মান্নান বলেন, গ্রামের মানুষ চায় একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড, একটি টিউবওয়েল, একটি টয়লেট। তারা হয়তো সুশাসন বুঝেন না। তবে তারা চান থানার একজন ভালো ওসি থাকুক, ইউনিয়নে একজন ভালো চেয়ারম্যান থাকুক, ইউনিয়নে একজন সৎ ইউপি সচিব থাকুক, ভূমি অফিসে একজন ভালো তহশিলদার থাকুক। শহরের নাগরিক সমাজের কাছে সুশাসন বলতে বোঝায় মানবাধিকার।
সরকারের অবদান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সরকার গ্রাম ও শহরের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছে। তাই প্রধানমন্ত্রী প্রথমে দারিদ্র্য দূর করে মানুষের খাদ্য নিশ্চিত ও রাস্তা-ঘাট নির্মাণের নজর দিয়েছেন। গ্রামের মানুষদের প্রতি অবহেলা সরিয়ে তাদের হক ও পাওনা স্বীকার করার সময় হয়েছে। শুধু স্বীকার করা নয়, তাদের চাহিদা বাস্তবায়ন করারও সময় হয়েছে। আর সে কারণেই মন্দের ভালো হিসেবে ন্যায়বিচার করা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সম্ভব হয়েছে। এ সময় তিনি সরকারের পক্ষ থেকে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া, শিক্ষার প্রসার ও রাস্তা-ঘাট নির্মাণের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
মান্নান বলেন, অনেকে আমাকে প্রশ্ন করে, যেখানে সুশাসন, মানবাধিকার অবদমিত হচ্ছে সেখানে আপনি বসে আছেন কেন? এত কথাবার্তা বলেন কেন? আমার ব্যাখ্যা, আমি স্বীকার করছি আমি একা বৈষম্য কমাতে পারব না, কিন্তু আমি যদি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য একটু কিছু করতে পারি, তাহলে আমার জীবন স্বার্থক বলব না? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ইঙ্গিত করে মান্নান বলেন, আমি বিশ্বাস করি তিনি এ মুহূর্তে মন্দের ভালো। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বৈষম্য কমাতে কম বয়সে একবার মনে হয়েছিল হো চি মিন বা মাও সেতুং এর মতো হয়ে যাই। কিন্তু সেটা আমি পারিনি। তখন আমি চিন্তা করেছি মন্দের ভালো যে দল আছে, সেটাতে আমি যাই। সেই দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ।

 


আরো সংবাদ



premium cement